ঢাকার ধামরাই উপজেলার লোকালয়ে ছাগল খেতে আসা ক্ষুধার্ত সুন্দরবনের এক রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় জনতা। রোববার সকাল পর্যন্ত বাঘটি উপজেলার নবগ্রাম চরপাড়া মো. আব্দুল হালিমের তত্বাবধানে রয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে বাঘটি উদ্ধার করা হয় উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের নবগ্রাম এলাকা থেকে।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, বেনাপোল, হিলি ও পার্বতীপুর সীমান্ত পথে বাঘটি পাচারের আগে পাচারকারীদের অগোচরে এলাকার জঙ্গল, কলাবাগান কিংবা কবরস্থানের ঝোঁপঝাড়ে আশ্রয় নেয়। এর পর ক্ষুধার যন্ত্রণা সইতে না পেরে বাঘটি লোকালয়ে আসে।
শুক্রবার কৃষক মো. আব্দুল হালিমের বাড়ির একটি ছাগল ধরে নিয়ে আমবাগানের ভেতর খাচ্ছিল ওই বাঘটি। এ সময় পথচারীরা শব্দ শুনতে পেয়ে ভয়ে আঁতকে ওঠে। পরে এলাকাবাসী লাঠিসোটা আর মোটা সুতার জাল নিয়ে বাঘটিকে ঘেরাও করে আটক করে।
এলাকাবাসীর মাঝে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত উৎসুক জনতা বাঘটি দেখতে আসে।এতে জনমনে বেশ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের ধারণা এলাকার ঝোঁপঝাড়, কবরস্থান কিংবা কলাবাগানের ভেতর আরও বাঘ বা শাবক ছানা লুকিয়ে থাকতে পারে।
রোববার বিকালে আব্দুল হালিম জানান, শুক্রবার দিনগত রাত ১১টার দিকে আমার বাড়ির উঠানে থাকা একটি বড় ছাগল ধরে নিয়ে যায়। আমরা ধারণা করেছিলাম হয়তো কোনো শিয়াল কুকুর ধরে নিয়ে গেছে ছাগলটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও ছাগলটি পাইনি।
পরে গ্রামবাসীর আনাগোনা ও হইহুল্লোড় শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি ওই বাঘটিই আমার ছাগলটি ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলেছে। বাঘের পাশেই পড়ে আছে ছাগলটির মাথা। এ বাঘটি চিড়িয়াখানায় দেওয়া হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, বাঘটি লোকালয়ে ছাগল খাওয়ার জন্য এসে জনতার হাতে ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলেই বাঘটি হস্তান্তর করা হবে।